Home সারাদেশ মিরপুর উপজেলায় অবৈধভাবে গাছ কাটায় থানায় অভিযোগ

মিরপুর উপজেলায় অবৈধভাবে গাছ কাটায় থানায় অভিযোগ

64
0

সাইদুর রহমান, কুষ্টিয়া:
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের বুরাপাড়া জিকে ক্যানেলের সরকারি গাছ কাটার ঘটনায় অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর আমলা ইউনিয়ন আমির নাসিম রেজা মুকুল নিজেই ফোনে গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এদিকে বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কল রেকর্ড ফাঁস হওয়ায় ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তবুও ঘটনার দশ দিন পার হলেও এখনো কোনো মামলা হয়নি, যা নিয়ে জনমনে চরম হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

ভাইরাল হওয়া অডিও রেকর্ডিংয়ে নাসিম রেজা মুকুলকে বলতে শোনা যায়, “আমার কাছে অনুমতির কাগজ আছে।” অথচ তিনি তা দেখাতে পারেননি এবং সম্প্রতি তিনি বলছেন, “আমি গাছ কাটিনি।” এ নিয়ে তার বক্তব্যে অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে।
একইসঙ্গে ওসি (তদন্ত) আব্দুল আজিজ ও বন কর্মকর্তার কথোপকথনের অডিও রেকর্ডেও স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে “আমরা কাউকে গাছ কাটতে অনুমতি দেই নাই। অবৈধভাবে গাছ কাটছিল, তাই সেগুলো জব্দ করা হয়েছে।

ঘটনার দিনই বন বিভাগের অনুরোধে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ জব্দ করে এবং থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, বন বিভাগ যেভাবে নির্দেশ দেবে, তারা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এত কিছু ঘটার পরও বন বিভাগ মামলা না করে নিরব ভূমিকা পালন করছে। এক বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “স্বীকারোক্তি, কল রেকর্ড, জব্দকৃত গাছ—সবকিছু থাকার পরও মামলা না হলে এটা পরিষ্কার, প্রভাবশালীদের রক্ষায় বন কর্মকর্তারা ইচ্ছাকৃতভাবে দায়িত্বে গাফিলতি করছেন।

এ বিষয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তা জুয়েল আহমেদ বলেন, “ঘটনাটি তদন্তাধীন, আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি।” তবে কবে মামলা হবে কিংবা আদৌ হবে কি না—তা নিয়ে তিনি কিছু বলেননি।
অথচ ওই বিষয়টা নিয়ে নাসিম রেজা মুকুল ও তার অনুসারীরা বিষয়টি মিথ্যা বানোয়াট বলে প্রচার চালাচ্ছেন।

এদিকে পরিবেশবাদী সংগঠন, সুশীল সমাজ ও সাধারণ জনগণ দ্রুত এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা ও বন বিভাগের নিরব ভূমিকার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here