Home সারাদেশ রংপুরে সাংবাদিকদের জন্য ব্যতিক্রমী আবাসন প্রকল্পের উদ্বোধন

রংপুরে সাংবাদিকদের জন্য ব্যতিক্রমী আবাসন প্রকল্পের উদ্বোধন

56
0

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরে সাংবাদিকদের আবাসন সংকট দূর করতে এক অভিনব ও মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে রংপুর সদর উপজেলা প্রেসক্লাব। আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে সদর উপজেলার চওড়াপাড়া গ্রামে সাংবাদিকদের জন্য বিশেষ আবাসন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে এই বহুল প্রতীক্ষিত আবাসন প্রকল্পের সূচনা করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রংপুর সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্যোক্তা মহিউদ্দিন মখদুমি। সঞ্চালনায় ছিলেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মিলন আল মামুন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রংপুর সদর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম, খলেয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নেবিউল হক লিটন, বিএনপি নেতা মাসুদ রানা, খলেয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কাওসার আলমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিক সমাজ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “সাংবাদিকদের জন্য এই আবাসন প্রকল্প একটি যুগান্তকারী ও ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো রংপুর সদর উপজেলা প্রেসক্লাব এমন মানবিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে, যা অন্য উপজেলাগুলোর জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।”

তিনি আরও বলেন, “বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজের প্রান্তিক ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীর কথা তুলে ধরতে সাংবাদিকরা যে ভূমিকা রাখেন, তা সমাজ পরিবর্তনের অন্যতম চালিকা শক্তি। এই প্রকল্প তাদের প্রতি সামাজিক কৃতজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ।”

অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাব সভাপতি মহিউদ্দিন মখদুমি বলেন, “এই প্রকল্প শুধু একটি আবাসন পরিকল্পনা নয়, এটি সাংবাদিকদের প্রতি সমাজের দায়বদ্ধতার প্রতীক। আমি আমার নিজস্ব ৫ শতাংশ জমি এই প্রকল্পের জন্য উৎসর্গ করেছি, যাতে করে প্রকল্পটি আরও দ্রুত ও সফলভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হয়।”

জানা গেছে, প্রাথমিক পর্যায়ে চওড়াপাড়া গ্রামে এই প্রকল্প চালু হলেও ভবিষ্যতে রংপুর সদর উপজেলার আরও পাঁচটি ইউনিয়নে এই সুবিধা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে।

এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সাংবাদিক সমাজ বলছে, এটি শুধু আবাসন সমস্যা সমাধানের পথ দেখায়নি, বরং সাংবাদিকদের মর্যাদা ও নিরাপত্তার প্রতি একটি বড় সামাজিক স্বীকৃতিও বয়ে এনেছে।

সাংবাদিকদের জন্য এই ধরণের মানবিক প্রকল্প ভবিষ্যতে দেশের অন্যান্য জেলায় ছড়িয়ে পড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here