Home সারাদেশ রংপুর সিটি কর্পোরেশনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও উন্নয়নমূলক কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও...

রংপুর সিটি কর্পোরেশনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও উন্নয়নমূলক কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি

102
0

ডেস্কে রিপোর্ট:

রংপুর সিটি কর্পোরেশনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও জাপানের (জাইকা) অর্থায়নে উন্নয়নমূলক কাজে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে।

৭টি প্যাকেজের মধ্যে ১টি প্যাকেজে ২৪ লক্ষ ১৯ হাজার ২শত ৮১টাকার চলমান কাজে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ পান কুড়িগ্রামের বেলাল কন্সট্রাকসন প্রো: বেলাল হোসেন। সাব ঠিকাদার হিসেবে রংপুর নগরের আওয়ামী লীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী সাবেক কাউন্সিলর শাহাদত হোসেন এর ঘনিষ্ঠ সহচর কিরন মিয়া ছয়কে নয় বানিয়ে সাধারণ মানুষের উপর জুলুম চালাচ্ছে। সে বিষয়ে আব্দুল আলিম বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে অভিযোগ করলেও এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা করেনি সংশ্লিষ্ট দপ্তর। প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারলেও রংপুরে কর্মরত দেশের বিশেষ বাহিনীকে দিয়ে ও মেট্টো থানার পুলিশের লাঠিয়াল বাহিনী বাদীপক্ষকে নির্মমভাবে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বরত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আজম আলী দৈনিকের প্রতিনিধিকে বলেছেন সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে কোন আপত্তি থাকলে সেখানে কাজ চলতে পারে না। কিন্তু সাব ঠিকাদার অর্থাৎ মামলার প্রতিপক্ষ কিরন এর কথা হচ্ছে যত আপত্তিই থাকুক না কেন সে তার কাজ চালিয়ে যাবে। আজম আলী আরও জানান বাদী পক্ষ কোন দলিলপত্র দেখাতে পারেনি অথচ নির্বাহী বিভাগ কাগজপত্র পর্যালোচনা করে ১৪৪/১৪৫ ধারা অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করে।

রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ ও ১৪৫ ধারায় বাদীর পক্ষে নিষেধাজ্ঞা জারী করলেও সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বরত ঠিকাদার এবং সন্ত্রাসীগণেরা তা মানছেন না। এলাকার সচেতন নাগরিক হিসেবে কালাম হোসেন, পিতা-মনসুর আলী, শামীম ইসলাম পিতা-নুরুল ইসলাম, ইব্রাহিম পিতা-মৃত এনায়েত, রজব আলী পিতা-ইদ্রিস আলী, সুজন খন্দকার পিতা-নুরুল খন্দকার সর্বসাং-বামন গোটলা, তাজহাট মেট্টো, রংপুর কাজে বাঁধা প্রদান করলে প্রতিপক্ষ ঠিকাদার গুন্ডাবাহিনী লেলিয়ে দিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি এমনকি মিথ্যা মামলা দিয়ে পরিবারসহ জিম্মি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর প্রবল বাঁধার মুখে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হন ঠিকাদার কিরন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় বাদী আব্দুল আলিম পিতা মৃত তৈয়ব আলী সাং-বামন গোটলা, রংপুর মেট্টো বাদী হয়ে ৫ জনকে বিবাদী করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। প্রতিপক্ষরা হলেন-কিরন মিয়া পিতা মৃত জামাল সাং-রবার্টসনগঞ্জ মন্ডলপাড়া, বেলাল হোসেন পিতা-অজ্ঞাত সাং-চৌমোহনি, কুড়িগ্রাম সদর, কুড়িগ্রাম, আজম আলী তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রংপুর সিটি কর্পোরেশন, মোছা: উম্মে হালিমা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রংপুর সিটি কর্পোরেশন, সরওয়ার সহকারী প্রকৌশলী রংপুর সিটি কর্পোরেশন এর বিরুদ্ধে এমআর-১০২৬/২০২৫, স্মারক নং-২০৪৪/১(২), তারিখ: ১১/০৮/২৫। মালিকানাধীন নাম দাখিল করেছেন এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৯৮ এর ১৪৫(৪) ধারা মোতাবেক তফশিল বর্ণিত সম্পত্তির মূল মালিক ছিলেন জ্যোতিষ চন্দ্র সেন গুপ্ত তিনি নালিশী সম্পত্তি ভোগদখল করাকালীন টাকার বিশেষ প্রয়োজন হওয়ায় বিগত ২২/০২/৪১ইং তারিখে ১৫৯৮নং দলিল মূলে আজাহার আলী বরাবর ৬৪ শতক সম্পত্তি বিক্রয় করেন। অতপর আজাহার আলী নিম্ন তফশিল বর্ণিত সম্পত্তি দলিল মূলে প্রাপ্ত হইয়া ভোগদখল করাকালীন টাকার বিশেষ প্রয়োজন হওয়ায় বিগত ২৩/০১/৭৬ইং তারিখে ২৭৬৪ নং দলিল মূলে সাবেক ২২২নং দাগে ০৪ শতক এবং নালিশী সাবেক ২৯১নং দাগে ৫৮ শতক মোট ৬২ শতক সম্পত্তি মোহাম্মাদ তৈয়ব আলী বরাবর বিক্রয় ও দখল হস্তান্তর করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here